শিক্ষা

জাবিতে দেড় যুগেও বৃত্তির টাকা বাড়েনি

জাবি সংবাদদাতা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দেড় যুগেও শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থের পরিমাণ বাড়েনি। ১৯৯৮ সালে বৃত্তির অর্থ ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়।     শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই সাহায্য দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ১৯৯৮ সাল থেকে মাসিক ১২৫ টাকা হারে এই সম্পূরক বৃত্তি পেয়ে আসছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে বৃত্তির অর্থ বাড়ানো হয়নি। নানা জটিলতায় বৃত্তির অর্থ পেতেও দীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ১৯৯৮ সালের ৩০ মে সিন্ডিকেটের ২১৫তম সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূরক আর্থিক সাহায্য মাসিক ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১৯ বছরে সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়নি। তবে এরই মধ্যে বিভাগ উন্নয়ন, ক্যান্টিনে খাবারের দামসহ জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সব কিছুর খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অর্থ পেতেও ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পান না দ্বিতীয় বর্ষের টাকা। এভাবে এক বছরের বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীর হাতে পৌছাতে লেগে যায় ২-৩ বছর। সম্পূরক আর্থির সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। শিক্ষার্থী মোখলেছুর বলেন, ‘‘টাকা পেতে তো দীর্ঘ সময় লাগেই, তার উপর অর্থের পরিমাণ খুবই সামান্য। সব কিছুরই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বৃত্তির অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি। অচিরেই টাকার পরিমাণ বাড়ানো উচিৎ।’’ এ বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি-১) বলেন, ‘‘বিভাগের ফলাফল আমাদের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সম্পূরক আর্থিক সাহায্যের তালিকা প্রকাশ করি। বিভাগগুলো ফল পাঠাতে দেরি করায় দেরি হয়।’ অর্থের পরিমাণের বিষয়ে তিনি উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক আবুল হোসেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

   

রাইজিংবিডি/সাভার/২২ ডিসেম্বর ২০১৭/তহিদুল ইসলাম/বকুল