রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তিচ্ছুদের আগামী ৩ থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ৫৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত জানান, পূর্বের মতো এমসিকিউ পদ্ধিতিতে এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পাঁচটি ইউনিটের প্রত্যেকটিতে সর্বোচ্চ ৩২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তবে আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ভর্তিচ্ছুদের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের জন্য ১২৫৪ টাকা, ‘বি’ ইউনিটের জন্য ৭২৬ টাকা, ‘ডি’ ইউনিটের জন্য ৯৯০ টাকা এবং ‘ই’ ইউনিটের জন্য ১১২২ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি, এইচএসসি বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০, বাণিজ্য শাখায় উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং বিজ্ঞান শাখায় উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। লিখিত পদ্ধতি বাতিলের ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, আর কিছু দিন পরেই ভর্তি পরীক্ষা। হঠাৎ করে এই নিয়ম চালু করলে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়বে। তাই তারা এ বছর এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবেন। তবে সামনের বছর থেকে এমসিকিউ ও লিখিত দুই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত ২৩ জুলাই ভর্তি উপ-কমিটির সভায় এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করে লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রাইজিংবিডি/রাবি/৬ আগস্ট ২০১৮/মেহেদী হাসান/বকুল