শিক্ষা

ঘ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন: ছাত্রলীগের একাত্মতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ঘ ইউনিটের অধীন প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। বৃ্হস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধনে অংশ নিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে মানববন্ধন বিক্ষোভে রূপ নেয়। সবার একটাই দাবি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নিতে হবে। আজকের মধ্যে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান তারা। অন্যথা কঠোর আন্দোলনেরও হুমকি দেন। মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে আমরণ অনশনকারী আখতার হোসেনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন গত ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমরণ অনশনে বসেন। তিনিও ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়ে টানা তিন দিন অনশন করে আসছেন। এর আগে আখতারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সকালে পৃথক আরেকটি মানববন্ধন করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৪টি দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো-ঘ ইউনিটের ফলাফল বাতিল করতে হবে। পরীক্ষা পুনরায় নিতে হবে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিগত বছরে যারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে লজ্জিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন দিয়ে কোনো পরীক্ষা নেওয়ার দরকার নাই। এটিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হোক। এদিকে, শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে ছাত্রলীগ। বুধবার রাতে রাজু ভাস্কর্যে অনশনরত আখতারের সঙ্গে দেখা করে একাত্মতা প্রকাশ করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এ সময় রাব্বানী আখতারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ছাত্রলীগ সব সময় ন্যায়ের পাশে থাকবে। এতে কেউ যদি বিব্রত হয় তাতে কোনো কিছু আসে যায় না।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছে ওই প্রশ্নপত্রের হুবহু কপিও পাওয়া যায়। এ কারণে শিক্ষার্থী ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের একাংশের দাবি ছিল পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৮/ইয়ামিন/সাইফ