শিক্ষা

‘নির্বাচন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিল, পুনঃতফসিল ঘোষণা ও হল থেকে ভোটকেন্দ্র সরিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচন বাতিল না করা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সোমবার বিকেলে প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বিভিন্ন প্যানেলের প্রতিনিধিরা। ওই লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী লিটন নন্দী, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান, একই পদে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির, স্বতন্ত্র জোটের হয়ে ভিপি পদপ্রার্থী অরণি সেমন্তি খান ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের হয়ে জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খান। নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানে বাধা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কারচুপি, প্রার্থীদের ওপর হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরি, ভোট দেওয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন রকম অনিয়ম হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ অধিকাংশ প্রার্থীই নির্বাচন বর্জন করেছি। এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোনোক্রমেই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করা যাবে না। অতএব নির্বাচনটি বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণার আশু পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি। উল্লেখ্য, অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে সোমবার হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ মার্চ ২০১৯/ইয়ামিন/রফিক