শিক্ষা

জবি ক্যাম্পাসে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মিছিল

জবি প্রতিনিধি : ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের মিছিল-মিটিংয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার খবরে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এ মিছিল করেছে তারা।

নিজ অনুসারীদের নিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন বহিষ্কৃত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলামের ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল।

ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে দ্বিতীয় ফটক দিয়ে আবার প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ১০টার পর ক্যাম্পাসে অবস্থান নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ফেব্রুয়ারিতে একটি সংঘর্ষের জেরে বিলুপ্ত হয় তরিকুল-রাসেল কমিটি। সেসময় সপ্তাহ জুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে সদরঘাট এলাকা। গুরুতর আহত হয় চার সাংবাদিক, সহকারী প্রক্টরসহ অন্তত ৫৭ জন।

এখন নতুন করে তরিকুল-রাসেলের শোডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেতাকর্মীরা।

ইমরান খন্দকার ইমু নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী লিখেছেন, ‘যেখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পদ থেকে অব্যহতি দিলে যুবলীগ-আওয়ামী লীগের নেতারা আনন্দে মিছিল করে সেখানে আর যাই হোক সুষ্ঠ রাজনীতি নেই।’

এদিকে ক্যাম্পাসে মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ নিয়ে জানতে চাইলে নিজেদের এখনও ছাত্রলীগ হিসেবে দাবি করছেন শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল। তিনি বলেন, ‘নেত্রীর সিদ্ধান্ত যাতে বাস্তবায়ন হয় তাই আমরা মিছিল করেছি।’

সাবেক নেতা হয়ে মিছিলের যৌক্তিকতা কতটুকু জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘সাবেক নেতা তাই বলে ক্যাম্পাসে যাওয়া কি নিষেধ?’

প্রক্টর অফিসকে জানিয়ে মিছিল করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ তো কাউকে জানিয়ে মিছিল করবে না।’

সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘নেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল ও মিষ্টি খেয়েছি। এটা কি অন্যায়? ’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবীর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নিব। শোভন-রাব্বানী আমাদের আন্দোলনের ফসল ছিল। আমরা দীর্ঘদিন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এই নেতৃত্ব এনেছিলাম । তরিকুল-রাসেল আমাদের সংগঠন করতো। আমি বলবো সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে। কেউ যেন অপতৎপরতা না করে।’

নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর আরিফুল আবেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্র কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য আমরা সতর্ক ছিলাম। আমরা ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি বসে দেখবো কারা মিছিল করেছে।’ রাইজিংবিডি/ জবি/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/তমাল/জেনিস