শিক্ষা

প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি এবারো লটারিতে

এবারো নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা লটারির মাধ্যমে নেয়া হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য একজন শিশুর বয়স হতে হবে ছয় বছরের উপরে।

দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে।

এসব বিষয় উল্লেখ করে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০২০ চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, মহানগরী ও জেলা সদরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের স্কুলগুলোর ভর্তি আবেদনও অনলাইনে গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে অনলাইনে আবেদন, ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য সময়সূচি ঠিক করা হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীর ৩৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করে পরীক্ষা নেয়া হবে। একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি স্কুলেই আবেদন করতে পারবে। আগের মতোই বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। আর বাকি ৬০ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হবে।

২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য সব মহানগরী, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন গ্রহণ, আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ অনলাইনে করতে হবে। তবে কোনো কারণে অনলাইনে করা সম্ভব না হলে শুধু উপজেলা পর্যায়ের স্কুলগুলোর জন্য ম্যানুয়ালি আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি স্কুলে আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট ৫০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে রাখা হয়েছে ২০ নম্বর। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা । এছাড়া চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতে রাখা হয়েছে ৪০ নম্বর। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানদের ছেলে-মেয়ের, প্রতিবন্ধীদের কোটা আগের মতো বহাল রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটার পরিবর্তে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আর বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে কোনো শ্রেণিকে কত আসন রয়েছে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার কথা বলা হয়েছে। কোনো স্কুলে যাতে নির্ধারিত আসনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে না পারে সে জন্য কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে সভা থেকে জানানো হয়।

 

ঢাকা/হাসান/জেনিস