শিক্ষা

নওগাঁয় গাছ কাটার প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন

নওগাঁর সাপাহারে রাতের আঁধারে ১০ হাজার আম গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগ।

মানববন্ধনে মানুষের পরম উপকারী বন্ধু বৃক্ষ নিধনে দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

শনিবার বিকেলে যবিপ্রবির মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরি কাম একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইএসটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘একটি দেশের মোট আয়তনের মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে রয়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে বৃক্ষ রোপণ করে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তি দ্বন্দ্বের কারণে বৃক্ষ নিধন করে প্রকৃতির উপর নির্মম প্রতিশোধ কখনোই মেনে নেয়া যায় না। প্রকৃতির পরম বন্ধু বৃক্ষ নিধন কখনোই সচেতন মানুষ মেনে নিতে পারে না। যারা নিজেদের শত্রুতার জন্য ১০ হাজার আম গাছ কেটে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের এখনই না থামালে এ দুর্বৃত্তায়ন চলতেই থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নওগাঁর জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, ১০ হাজার আম গাছ কেটে ফেলার শাস্তি হিসেবে তাদেরকে এক লাখ গাছ রোপণের শাস্তি আরোপ করা হোক। একই সঙ্গে তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক, যেন কেউ আর মানুষের পরম বন্ধু বৃক্ষ নিধনে সাহস না পায়।’

ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘গাছের উপর আক্রোশ অত্যন্ত নিন্দনীয়। কারণ গাছ সব সময় মানুষের উপকার করে, কখনোই কারোর ক্ষতি করে না। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. মজনুজ্জামান, ইএসটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুষার কুমার দাস, তাপস কুমার চক্রবর্তী, সামিনা জামান, প্রভাষক ছাবিহা সরোয়ার, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদসহ ইএসটি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন ইএসটি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজনীন সুলতানা।

 

যবিপ্রবি/সজীব/হাকিম মাহি