ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স থাকা নিয়ে শিক্ষকদের পক্ষ-বিপক্ষে চরম বির্তকের পর সিদ্ধান্ত ছাড়াই একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সমাপ্তি ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদকে প্রধান করে নতুন আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাতে সভা শেষে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সদস্য এ তথ্য জানান।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় বসে একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভা। কোর্স বাতিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে সভা আহ্বান করা হয়।
সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারলে ও সান্ধ্যকোর্স বাতিলের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কাউন্সিল।
একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, সান্ধ্যকোর্স বন্ধের বিষয়ে কিছু শিক্ষকদের বিরোধীতার মুখেও চলমান থাকতে পারে। তবে সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি আপাতত স্থগিত থাকতে পারে। পরে নীতিমালার আলোকে সান্ধ্যকোর্স থাকবে কি থাকবে না তা নির্ধারণ করা হবে।
সভায় আলোচিত এ কোর্স বন্ধ না করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন শিক্ষকরা। সান্ধ্যকোর্সের পক্ষ নিয়ে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, এ ধরণের প্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জল করে। আমি যদি আমার বিভাগের কথা বলি তাহলে বলবো, আমার এখানে ডিগ্রি নেয়ার জন্য এখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরাবান্বিত করে।
কোর্সের বিরোধীতা করে স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা, যারা মেধা দিয়ে এখানে ভর্তি হয়, তাদের স্বার্থের বিষয়ে আমাদের চিন্তুা করতে হয়। শিক্ষার্থীরা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আমাদের স্যাররা আমাদের সময় দেন না। ঢাকা/ইয়ামিন/নাসিম