শিক্ষা

‘জাতির পিতার রচনা পাঠ কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে’

মুজিববর্ষে জাতির পিতার রচনা পাঠ কার্যক্রমকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

রোববার (০৯ আগস্ট) রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সভাকক্ষে ‘মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোকদিবস ২০২০’ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চার মাসব্যাপী পাঠ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।  জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর লেখা তিনটি গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'কারাগারের রোজনামচা' ও 'আমার দেখা নয়াচীন' এর ওপর ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শিরোনামে ঢাকা মহানগরের ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত গ্রন্থগুলোকে নতুন প্রজন্মের মধ‌্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে যে পাঠ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি নতুন, সৃজনশীল ও প্রশংসনীয় কর্মসূচি।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ১৫০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ পাঠ কার্যক্রমকে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ৮০০টি গ্রন্থাগারের সহযোগিতায় সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকর্ষণ করে, তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকর্ষণ করে।  এটি আমাদের জ্ঞান উদ্দীপ্ত আলোকিত পথের সন্ধান দেয় এবং মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক মফিদুল হক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস ও অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন প্রমুখ।