শিক্ষা

‘বিশ্ববিদ্যালয় হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি’

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে স্বাস্থ্য  সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি বলে অভিমত দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ৪ জনের নির্দিষ্ট রুমে ৮ থেকে ১২ জন থাকছেন।  প্রতিটি সিটে দুজন করে শিক্ষার্থী থেকে এছাড়াও মেঝেতেও শিক্ষার্থীদের থাকতে হয়।  যে কারণে সংক্রমণের ঝুঁকিটাও বেশি। এছাড়া গণরুমে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অবস্থান করেন।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি।  তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।  সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়েই বাস্তবতার আলোকেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।  তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু খুলে দিলেই হবে না, এক্ষেত্রে অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে।  বিশেষ করে হলগুলোতে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল নেই।  তারা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নানাভাবে নিশ্চিত করতে পারবে।  তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সেটি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।  যেখানে অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকেন।  অনেকটা ঝুঁকির বিষয় রয়েছে।  সবদিক বিবেচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।