শিক্ষা

প্রতারণার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বহিষ্কার

প্রতারণা করে শিক্ষকদের কাছে অর্থ আদায় করায় নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত বহিষ্কারের আদেশ জারি করা হয়। বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সেটি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

আদেশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষে রিয়াজ পারভেজ, মো. নজরুল ইসলাম এবং নূরে আলম সিদ্দিকীর যৌথ স্বাক্ষরে সোনালী ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকে দুটি হিসাব খোলা হয়। যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মো. নূরে আলম সিদ্দিকী সরকারের অনুমতি বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষে কোষাধ্যক্ষ পরিচয়ে শিক্ষকদের কাছে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেল এবং ১০ গ্রেড প্রাপ্তির জন্য খরচ করবেন বলে এ অর্থ শিক্ষকদের কাছে আদায় করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, এ ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়ার বিষয়ে বিভাগীয় ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক তাকে সতর্ক করলেও তিনি তা আমলে নেননি। তার ওপরে শিক্ষক বদলি ও ডিজিটাল হাজিরা মেশিন নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে ভাইরাল করছেন এবং আদায় করা চাঁদার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপণ্য করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। 

এমন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকীকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচারণ ও দুর্নীতির দায়ে তাকে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ সময়ে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী তাকে নির্ধারিত ভাতা প্রাপ্ত হবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।