শিক্ষা

চলতি বছরেই শেষ হচ্ছে প্রাথমিকে জরাজীর্ণ ভবনের সংস্কার কাজ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যে এগুলোর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জরাজীর্ণ ও ভবন না থাকা স্কুলের সংখ্যা চিহ্নিত করা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কাজেরই অংশ। এ লক্ষ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষা সম্পদ ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা’ (পিইপিএমআইএস) নামে একটি সফটওয়্যারও আছে। ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই আলোকে সংস্কার বা নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সদ্যবিদায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ বলেন, ‘আমি থাকতেই সকল জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং ডিসেম্বর নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে নতুন মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু চলমান রয়েছে। আশা করছি, ডিসেম্বর নাগাদ যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করা খুব বেশি কঠিন হবে না।’ 

জানা গেছে, দেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন রয়েছে। ৩৬ হাজার ১৬৫টি পুরনো। এর মধ্যে অনেকগুলোই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।