বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও মানবিকগুণ সম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তৈরি করা হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে আমাদের দেশের তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের প্রযুক্তিখাতে নেতৃত্ব দেবে। সেভাবেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার দুইবছর পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং একটি দেশের সামগ্রিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই। বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসম্মত শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি দেশজুড়ে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ উদ্যোগেরই ফল।
তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জনমানুষের নেতা, জামালপুরের কৃতিসন্তান মির্জা আজম এমপি’র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সার্বক্ষণিক তিনি বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় মানুষজনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন।
করোনাকালে শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর বিষয়ে উপাচার্য বলেন, মহামারির কারণে বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুতর প্রভাব পড়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও গত সাত মাস ধরে বন্ধ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখতে আমরা অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছি। এতে তাদের ক্ষতি কিছুটা কম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে রিভিউ ক্লাসসহ অন্যান্য তদারকির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান, ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রায়হানা রহমান, সেকশন অফিসার এসএম মোদাব্বির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা কাম ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ হিজবুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।