শিক্ষা

যে কারণে অ্যাসাইনমেন্টে অতি উত্তম, উত্তম, ভালো লিখছেন শিক্ষকরা

করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান চলছে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ‌্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ লিখতে বলা হয়েছে। এগুলো লেখার কারণও অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও ‍উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।

অ‌্যাসাইনমেন্ট ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ লেখার কারণ বর্ণনা করলে শিক্ষার্থীরা তাদের সক্ষমতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারবে এবং শিক্ষকরা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন বলে মনে করে মাউশি।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা নানাভাবে পাঠদান করছেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণ যেন অব্যাহত থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখছেন তারা। শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্ট দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘‘অ‌্যাসাইনমেন্টে ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভাল’, বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থী সম্পর্কে যথাযথ মূল্যায়ণ করা যাবে। এতে বাংলাদশের শিক্ষাব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমবে। তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। পরীক্ষাভীতি চলে যাবে। পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।’’