শিক্ষা

৩৫ বছর পর ইবিতে শহীদ মিনার

জেলা প্রতিবেদককুষ্টিয়া, ১৪ ফেব্রুয়ারি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন আহম্মেদ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে।নতুন নির্মিত এই শহীদ মিনারটি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পরের অবস্থানটি ধরে রেখেছে।ক্যাম্পাসভিত্তিক সর্ববৃহৎ শহীদ মিনারটির মূল বেদি থেকে ১১৬/৭৫ ফুট (দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ), মাটির ওপর থেকে মূল বেদি ৯ ফুট উপরে এবং উচ্চতা ৪৫ ফুট। শহীদ মিনারটির পিলারের মাঝে স্টিলের এসএস পাইপ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে। শহীদ মিনারের সঙ্গে দু`পাশে ফুলের বাগান। তিন পাশ দিয়ে ওঠার জন্য সুন্দর কারুকার্য খচিত সিরামিক ইট দিয়ে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। মূল বেদিতে সবাই যাতে সহজেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে পারে তার জন্য র্যা ম্প তৈরি করা হয়েছে। মূল বেদির মধ্যখানে লাল রঙের প্যাটার্ন স্টোন দিয়ে আবৃত আছে। শহীদ মিনারটির মূল এরিয়া ৪০০/২০০ বর্গফুট। মূল এরিয়ার চতুর্দিক দিয়ে স্থায়ীভাবে ফুল বাগান, বক্স লাইটিং ও সার্চ লাইটিংয়ের ব্যবস্থা আছে।কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির অবস্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে প্রবেশের ৩০০ ফুট দক্ষিণ-পূর্ব কোণে। প্রধান ফটক থেকে শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য রাস্তা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৯ মার্চ ফলিত রসায়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন আহম্মেদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে যোগদানের পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার তৈরির ঘোষণা দেন। তারই ফলশ্রুতিতে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম আলাউদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনারের অভাব আমার অনুভূতিকে দীর্ঘদিন ধরে নাড়া দিচ্ছিল।৭১ সালে এর মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের মানুষের একটি বড় ভূমিকা ছিল। অথচ এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পিলার বিশিষ্ট একটি ভাঙা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতো।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় ও ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমার সময়ে এই শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে বলে আমি গর্বিত।

 

রাইজিংবিডি / কাঞ্চন কুমার / ফেরদৌসী