শিক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি

বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণাসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল শুরু করে ছাত্র ইউনিয়ন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটি।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি কেএম মুত্তাকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সভাপতি প্রিতম ফকির, মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ ও গাজীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব সর্দার।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘করোনার সময়ে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। প্রতিদিন আমরা মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাই। শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এর মাঝে আমরা দেখতে পাই, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অনলাইন ক্লাসের আয়োজন। আমাদের দেশের সব শিক্ষার্থী অনলাইনের আওতায় নেই। অনলাইন ক্লাসের উপযোগী ডিভাইস নেই অনেক শিক্ষার্থীর।’ ছাত্র ইউনিয়নের দাবিগুলো হলো— ১. করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে। অ‌্যাসাইনমেন্টের নামে বিভিন্ন স্কুলে আদায় করা ফি ফেরত দিতে হবে। ২. নামে-বেনামে ফি আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩. বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ৪. সেশনজট রোধে দ্রুত এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫. পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করতে হবে। ৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করে পরীক্ষা নিতে হবে। অছাত্র-সন্ত্রাসীদের হল থেকে বিতারণ করতে হবে। ৭. সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করতে হবে। ৮. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে হবে।