শিক্ষা

চাকরিচ্যুত হচ্ছেন অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদ

অন্যায়ভাবে শিক্ষকদের বহিষ্কার, দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত হচ্ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া উচ্চ বালিকা স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।  গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা শিক্ষাবোর্ড স্কুলের গভর্নিং বডি ওই অধ্যক্ষকে চাকরিচ্যুতি করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা ৫ শিক্ষককে স্ব পদে বহাল করে ৭দিনের মধ্যে বোর্ডকে জানাতে বলেছে।

শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত দুটি চিঠিতে বলা হয়, অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদের বিরুদ্ধে আনা প্রভাষক এবং অধ্যক্ষ পদে অবৈধ নিয়োগ, দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে।  এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ৭দিনের মধ্যে শিক্ষাবোর্ডকে জানাতে হবে।

অন্য চিঠিতে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা ৫ শিক্ষক-সহকারী শিক্ষক শাহীন আসমা, রুমিনা খানম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, ও তৌহিদুল হাসান ও আনিসুর রহমানকে স্বপদে পুনর্বহাল করে একই সময়ের মধ্যে বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, অবৈধভাবে শিক্ষক বহিষ্কার ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, পরির্দশন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগগুলো তদন্ত করতে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়। তদন্তে তার রিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ, বৈধ শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা, প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।  এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যক্ষের অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন যেমন কমছে, ফলাফলেও তেমনি ধস নামছে।এ অবস্থার জন্য প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদ দায়ী।

এর আগে অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত করে থানা ও জেলা শিক্ষা অফিস। ওই তদন্তেও অধ্যক্ষ ফাতেমার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলে।