ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটি। নীতিমালা অনুযায়ী এবার ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশের সময় কমানো হয়েছে। আর বাড়ানো হয়েছে লিখিত অংশের সময়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ‘ঘ’ ও ‘চ’ ইউনিটের জন্য ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ-এর জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ মিনিট। আর লিখিত অংশের জন্য শিক্ষার্থীরা ৪৫ মিনিট সময় পাবেন।
যদিও ২০২৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের জন্য সময় নির্ধারণ ছিল ৫০ মিনিট। আর ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় পেয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সে হিসেবে লিখিত অংশের নম্বর কমানো হলেও বেড়েছে পরীক্ষার সময়। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউয়ের জন্য সময় ছিল ৬০ মিনিট এবং লিখিত অংশের জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পেতেন ৯০ মিনিট।
এর আগে বৃহস্পতিবা (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৮ মার্চ থেকে।
এবার সব ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা বাড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটি। ‘ক’ ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে জিপিএ-৮.৫০। ‘খ’ ও ‘গ’ ইউনিটের ক্ষেত্রে জিপিএ-৮.০০ থাকতে হবে। ‘চ’ ইউনিটের জন্য ৭.০০ আর ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য নিজ নিজ ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) যোগ্যতা বহাল রাখতে হবে।
তবে, আবেদনকারী বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষার একটিতেও ৩.৫০ এর নিচে পাওয়া যাবে না। ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০, ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.৫, ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০ এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ ৩.০ এর নিচে পেলে আবেদন করতে পারবেন না।