ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকেই রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা। তাদেরকে সমর্থন দিতে সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও নীলক্ষেতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানব্বন্ধন করে বিভিন্ন শ্লোগানে আন্দোলন করতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা এ সময় তাদের দাবি মানতে হবে, পরীক্ষা নিতে হবে, বাঙলা কলেজের একশন ডাইরেঙ্কট একশন এমন করেই স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা নিলক্ষেতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মানব্বন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘সরকারি কলেজে আমাদের এমনিতেই সেশনজটে থাকতে হয়। করোনার কারণে আমরা স্নাতক শেষ করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তৃতীয় বর্ষই শেষ করতে পারিনি। তাই আমরা এসব সমস্যা থেকে মুক্তি চাই।’
মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খামখেয়ালি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে চলমান পরীক্ষা শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মোহাম্মদ পলাশ হোসেন বলেন, ‘খুব শৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আন্দোলনে কোনোভাবে জামাত শিবির প্রবেশ না করতে পারে। আমরা সবাই চাই আন্দোলন সুন্দর ভাবে হোক। কোনো বিশৃংখলা করা যাবে না।’
এরআগে গতকাল রাতে বিভিন্ন কলেজের সড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টার দিকে সেদিনের মতো সড়ক ছাড়েন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসার পর বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সরকারি সাত কলেজের চলমান ২০১৯ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ, ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা এবং ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপরই ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়কে নামনি শিক্ষার্থীরা।