শিক্ষা

প্রভাষকের পদোন্নতি হবে মূল্যায়ন পরীক্ষায়

বেসরকারি স্কুল কলেজের প্রভাষকদের পদোন্নতিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এই মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রভাষকদের পদোন্নতির ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন পরীক্ষা থাকবে। এর মধ্যে ১০ নম্বর অনলাইন ক্লাসের দক্ষতার ওপর রাখা হয়েছে। তাই, অনলাইন ক্লাসে পারদর্শী প্রভাষকরা পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস নিতে না পারা শিক্ষকদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। 

সোমবার (২৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।    নতুন নীতিমালায় কলেজে কর্মরত প্রভাষকদের অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে, ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হলেও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

প্রভাষকদের পদোন্নতিতে যে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে, তাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এমপিও প্রাপ্তির সিনিয়রিটিতে ১৫ নম্বর, পরীক্ষার ফলে ১৫ নম্বর, ক্লাসে উপস্থিতি ২০ নম্বর, নেতিবাচক রেকর্ডে না থাকলে ২০ নম্বর, বিভাগীয় মামলা না থাকলে ৫ নম্বর, সৃজনশীল দৃষ্টান্তে ১০ নম্বর, ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার দক্ষতায় ১০ নম্বর, এমফিল-পিএইচডিতে ৫ নম্বর, গবেষণা কর্ম ও স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থাকলে ১০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতি পাবেন প্রভাষকরা।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকদের চাকরির ৮ বছর  পূর্তিতে মোট প্রভাষক পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত সূচকে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর পূর্তিতে ৯ গ্রেড থেকে ৮ গ্রেডে বেতন পাবেন। মোট ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া সমগ্র চাকরির জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না। 

সিনিয়র প্রভাষকরা ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা স্কেলে ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া সমগ্র চাকরির জীবনে দুটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না।