শিক্ষা

ক্ষতি পোষাতে বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দের দাবি

করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষা খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেশের মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে। নতুন বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীর সর্বজনীন উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিং, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাশাপাশি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের অর্থ ব্যয়ে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, যথাযথ ব্যবহার করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে করোনায় বিপর্যস্ত বাজেট কেমন হওয়া উচিৎ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব দাবি কারা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, শিক্ষাবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মঞ্জরুল আহমেদ, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতির নানা বিষয় লিখিতভাতে তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, চলমান মহামারির কারণে দেশের ২ লাখ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি শিক্ষার্থী ক্ষতি হচ্ছে হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, আইসোলিশনে থাকা, করোনার ঝুকি, সিলেবাস পিছিয়ে পড়াসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

বলা হয়েছে, সরকার শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টিভি, অনলাইন, রেডিও মাধ্যমে ক্লাস চালু করলেও তা সর্বস্তরে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে অনেকে পিছিয়ে পড়েছে। এর ফলে বাল্যবিয়ে, পরিবারে অসান্তি সৃষ্টিসহ তৈরি হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, করোনার মধ্যে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পেলেও ননএমপিওরা বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ কারণে অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন। আগামী বাজেটে অর্থনীতি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও শিক্ষাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।  এটিকে অধিক গুরত্ব দিয়ে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার্থীর সর্বজনীন উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিং, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।