শিক্ষা

উপবৃত্তি: প্রতারণা ঠেকাতে বিশেষ কৌশল

ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারক চক্র শিক্ষার্থীর মায়েদের মোবাইল ফোনে কল করে নগদের পিন নাম্বার, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ প্রতারণা ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কৌশল।

উপবৃত্তি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ শুরু হওয়ার কথা আছে। এবার যাতে একজনের টাকা অন্যজন নিতে না পারে, সেজন্য উপবৃত্তিপ্রাপ্তদের নগদ অ‌্যাকাউন্টে ‘ক্যাশ আউট’ ছাড়া বাকি অপশনগুলো বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ একজনের মোবাইল থেকে অন্যজনের মোবাইলে সেন্ড মানিসহ টাকা পাঠানোর অন্য সব অনশন বন্ধ করা থাকবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘প্রতারণা ঠেকাতে এবার নতুন কৌশল নেওয়া হয়েছে। অভিভাবকের মোবাইলে টাকা যাওয়ার পর ১৫ দিন পর্যন্ত তিনি এ টাকা শুধু ক্যাশ আউট (তুলতে পারবেন) করতে পারবেন। অন্য কাউকে টাকা পাঠানোর যত অপশন আছে সেগুলো এ ১৫দিন বন্ধ থাকবে। এতে প্রতারণা প্রায় শূন্যের কোটায় চলে আসবে।‘

তিনি জানান, অভিভাবকদের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ক্যাশ আউট করতে উৎসাহ দেওয়া হবে। সেজন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের সচেতনামূলক প্রোগ্রাম ও স্ক্রল প্রচার করা হবে। এছাড়া, অভিভাবকদের সচেতন করতে শিক্ষকদের একটি নির্দেশনা পাঠাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।