শিক্ষা

সাড়ে ৩ ঘণ্টার বৈঠক শেষে যা জানালো ইউজিসি

শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসাসহ ৪টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সূহ খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।  এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ,  ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও মহাসচিব, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সচিব যুক্ত ছিলেন।

সভার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা এবং খুলে দেওয়ার বিষয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সচল ও নিরাপদ রাখার স্বার্থে বাস্তবতার নিরিখে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত হয়- ১) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা দেওয়ার কর্মসূচি আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে।

২) ইতোপূর্বে ইউজিসি কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে সরাসরি উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যে দুইটি নির্দেশনা প্রদান করেছে, তা স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর করে বিষয়বস্তুর ওপর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করা হবে।

৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম আগের মতো চালু হবে।

৪) কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি প্ল্যান প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই রিকভারি প্ল্যান একটি সাধারণ গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করবে।