শিক্ষা

প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসা না নয়: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের সব সময় ইতিবাচক থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য এমন কিছু করা যাবে না, যা আপনাকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলে। এ বিষয়টি মানলে সাফল্য একদিন আসবেই।’

শনিবার (১৯ জুন) গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চতুর্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে ভার্চুয়াল এ সমাবর্তনে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের উপদেশ দেবো না। একজন মা  হিসেবে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। জীবন থেকে, আশপাশের পরিবেশ থেকে, কাছের মানুষ থেকে সব সময় শিখতে হবে। এ শিক্ষা কখনও আনন্দের, কখনো দুঃখের হবে; কখনো কখনো কষ্টের, আবার কখনো অস্বস্তির হবে। আমার অনুরোধ, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কী শিখলেন সেটুকু অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন। সেটুকু গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তা জীবনে প্রয়োগ করবেন। জীবনে কোনো শিক্ষাই ফেলনা না, কোনো না কোনোদিন কাজে লাগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব সময়  ইতিবাচক ধারণার চর্চা করতে হবে। কতটা ভালো আছেন, সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে আপনি কতজনকে ভালো রাখতে পেরেছেন, সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। হতাশা, হিংসা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে।’

চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে গ্রিন ইউনির্ভাসিটির গ্র্যাজুয়েটসহ সব শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব‌্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা আমাদের ভবিষ্যতের কাণ্ডারি। প্রত্যেক গ্রাজুয়েটকে মনে রাখতে হবে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হলেও জীবনের পাঠশালা প্রতিনিয়ত শেখাবে। তোমাদের নতুন নতুন চিন্তাধারাই সমাজ এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান।

সমাবর্তনে ১ হাজার ৪৬৪ জনকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৬ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১৩ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।