শিক্ষা

জাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন, ৪ আনসার সদস্য বহিষ্কার

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন।  পরে আশুলিয়া পুলিশ ও জাবি প্রক্টরের আশ্বাসে আধাঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন তারা।

এদিকে, জাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ৪ আনসার সদস্যকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন, ওমর ফারুক, সারোয়ার, রমজান ও নজরুল।

মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও মারধরের শিকার হতে হচ্ছে।  তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

 মহসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান। পরে তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ স্থগিত করেন।

এ সময় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি শুনেছি। দোষী আনসারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আনসারদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জেনেছি। আহত শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে, দোষী আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা আনসার কমান্ডার আফজাল হোসেন। 

তিনি বলেন, মোহর আলী, ওমর ফারুক, রমজান আলী ও যুগল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তাদের  আনসার থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সব খরচের দায়িত্ব নিবে আনসার। আমরা এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা আহত শিক্ষার্থীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। এ ঘটনার থানায় অভিযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।