শিক্ষা

ঢাবি’র প্রশাসনিক ভবনে অনিয়ম: ৮ দাবিতে আমরণ অনশনে হাসনাত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেন হাসনাত।

এর আগে বেলা ১২টায় আট দাবি, গণস্বাক্ষরের কাগজ, জরিপ এবং নানা অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন হাসনাত।

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার পর হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘স্যার আমাদের যৌক্তিক আট দাবি পূরণে দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো কথাই বলেননি। ভিসি স্যার আমার সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম, স্যার, আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের কী বলব? ভিসি স্যার বলেছেন, আমি নাকি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছি। বলেছেন, আমার যা ইচ্ছে তা করতে। স্যারের এই অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ও আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন ঘোষণা করছি।’

এর আগে গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। তার কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত। ৩০ আগস্ট আট দফা দাবি পূরণে প্রশসানকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন হাসনাত।

হাসনাতের ৮ দাবি হলো—

১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।

২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।

৩. নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি কক্ষে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন।

৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।

৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিন সংস্কার।

৬. আইন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।

৭. অফিস চলাকালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত না থাকা।

৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।