শিক্ষা

হাকিমপুরে ১০ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের সীমান্তঘেষা হাকিমপুর উপজেলার ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। ১২ বছর আগে এ বিদ্যালয়গুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় কিন্তু সংস্কারের অভাবে ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পড়াশোনায় বিঘ্নসহ অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, হাকিমপুর উপজেলায় ৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ১২ বছর আগে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো হলো সাদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতনি রাওতাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খট্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকচকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাউশগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বিদ্যালয়গুলোয় গিয়ে দেখা গেছে, কোনো কোনো বিদ্যালয়ের দুই পাশের দেয়াল ভেঙে পড়েছে। আবার কোনো দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের পলেস্তার খসে পড়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের উপরের টিনের ছাউনি ভেঙে গেছে। তবুও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান করছে।সাদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, এক যুগ আগে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী ব্র্যাক ও আশ্রয় প্রকল্পের বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।হাকিমপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বিদ্যালয়গুলোর জরাজীর্ণতার কথা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষা কমিটির রেজুলেশন নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, গত মে মাসে শিক্ষামন্ত্রী হিলি সফরে এলে তাকে বিষয়টি জানানো হয়।হাকিমপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. শফি উদ্দিন বলেন, অর্থ বরাদ্দের অভাবে বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাংক এরই মধ্যে হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সার্ভে করেছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নকাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

   

রাইজিংবিডি/হিলি/২৯ জুন ২০১৪/হালিম আল রাজী/বকুল