শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক চর্চা জোরদার করতে পঞ্চগড়ে মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছে মাসিক নতুন কিশোরকণ্ঠের পাঠক সংগঠন ‘কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরাম’। পরীক্ষায় সেরাদের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পঞ্চগড় শহরের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজসহ দুটি কেন্দ্রে একযোগে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা ঘিরে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত পরীক্ষার্থীরাও।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার বলেন, “প্রশ্নগুলো মানসম্মত ছিল এবং প্রস্তুতির কারণে পরীক্ষা দিতে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।”
শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলের, “এই ধরনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা পড়াশোনায় আরো মনোযোগী হতে উৎসাহ দেয়।
আরেক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, “একসঙ্গে এত শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে নিজের অবস্থান বুঝতে সুবিধা হয়েছে। এমন আয়োজন নিয়মিত হলে আমরা আরো ভালো ফল করার জন্য চেষ্টা করব।”
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পঞ্চগড় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ও কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরামের পঞ্চগড় জেলার চেয়ারম্যান রাসেদ ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃরা।
পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন বলেন, “এই ধরনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।”
ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি ও কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরামের পঞ্চগড় জেলা চেয়ারম্যান রাসেদ ইসলাম বলেন, “আমরা প্রতিবছরই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেই। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”
স্কুল ও মাদ্রাসার চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এই প্রকল্পে ট্যালেন্টপুল, সাধারণ ও বিশেষ ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৪ লাখ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারী একজন শিক্ষার্থী পাবেন একটি ল্যাপটপ এবং প্রত্যেক শ্রেণির সর্বোচ্চ নম্বরধারীকে দেয়া হবে একটি করে বাইসাইকেল।