রাবি প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের উদ্যোগে শহীদ এসএম খলিলুর রহমান মামুন স্মৃতি আন্তঃবর্ষ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১৫ শুরু হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফোকলোর চত্বরে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
ফোকলোর বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক মেহেদী হাসানের পরিচালনায় উদ্বোধনী টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন, ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম ও রাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা।
এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ফোকলোর বিভাগের নবম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং মতিহার থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব হাসান, রাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাকিম বিল্লা, ছাত্রবৃতি বিষয়ক সম্পাদক টগর মোহাম্মদ সালেহ, মতিহার হলের সভাপতি শামীম হোসাইন প্রমুখ।
শিবির ক্যাডারদের হামলায় মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ এসএম খলিলুর রহমান মামুনকে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশের পাশাপাশি শারীরকভাবে সুস্থ রাখে। একজন শিক্ষার্থীকে কোনো সহিংস পথ থেকে দূরে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে খেলাধুলা। খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অবসর সময় অতিবাহিত হলে শহীদ মামুনের মতো আর কোনো শিক্ষার্থীকে শিবির ক্যাডারদের হাতে নিহত হতে হবে না বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
এ সময় শহীদ মানুন স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে ফোকলোর বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় প্রতিযোগীতা করে বিভাগের তৃতীয় বর্ষ (পুরাতন)।
খেলায় টসে জিতে ব্যাট করতে আহ্বান জানায় তৃতীয় বর্ষকে (পুরাতন)। ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে। এর জবাবে তৃতীয় বর্ষ ১৪৫ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান সংগ্রহ করে।
ম্যাচ শেষে তৃতীয় বর্ষ (পুরাতন) ৬৬ রানে জয়ী হয়। এতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় খেলায় বিজয়ী তৃতীয় বর্ষের (পুরাতন) অলরাউন্ডার জুয়েল রানা। তিনি অপরাজিত থেকে ২২ রান করেন এবং ৩ ওভার বল করে ৪টি উইকেট তুলে নেন।
প্রসঙ্গত, শহীদ এসএম খলিলুর রহমান মামুন ফোকলোর বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষাজীবন শেষে উপ-পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ট্রেনিংয়ে যাওয়ার দুদিন আগে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিজ এলাকা গাইবান্ধায় শিবিরের নৃসংশ হামলায় গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিংসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাইজিংবিডি/রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়/২২ মার্চ ২০১৫/মেহেদী হাসান/সনি