বিনোদন

সুরে সুরে উন্মাতাল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব

আমিনুল ই শান্ত : হেমন্তের আকাশে চাঁদের উঁকিঝুঁকি। সন্ধ্যা বসে যাওয়ার পর জোছনা ছড়িয়ে পড়েছে রাতের আকাশে। জোছনামাখা আকাশের নিচেই বসেছে উচ্চাঙ্গসংগীতের চতুর্থ আসর। শনিবার ছিল এই আসরের দ্বিতীয় দিন।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে দর্শকের উপস্থিতি কম থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শক সংখ্যা। আসরের শুরুতেই ধ্রুপদ গেয়ে শোনান বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী অভিজিৎ কুণ্ডু। তিনি রাগ ভূপালি পরিবেশন করেন। তার সঙ্গে পাখোয়াজে সঙ্গত করেন প্রতাপ আওয়াদ। অভিজিৎ কুণ্ডুর হাতে উৎসবস্মারক তুলে দেন পরম্পরা সংগীতালয়ের পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর।

   

এরপর মঞ্চে আসেন পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর। তিনি পরিবেশন করেন ধ্রুপদ সংগীত। তিনি রাগ ইমন ও তাড়ানায় ধ্রুপদ পরিবেশন করেন। তাকে পাখোয়াজে সঙ্গ দেন প্রতাপ আওয়াদ। পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকারকে উৎসব স্মারক তুলে দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাত্র।

 

এরপর পরিবেশিত হয় পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকারের একক তবলা। পরে পণ্ডিত ড. বালমুরালী কৃষ্ণর কর্ণাটকী সংগীত। তার সঙ্গে বাঁশিতে ছিলেন পণ্ডিত রণু মজুমদার। তারপর পরিবেশিত হয় ওস্তাদ শুভায়ূ সেন মজুমদারের এস্রাজ এবং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর খেয়াল।

 

রোববার তৃতীয় দিনের উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। চলবে পরদিন ভোর ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। তৃতীয় দিনের উৎসবে অংশ নেবেন ওয়ার্দা রিহাব ও তার দল (মনিপুরি নৃত্য), ওস্তাদ ওয়াসিফ ডাগর (ধ্রুপদ), ইউসুফ খান (সরোদ), ড. এন রাজম (বেহালা),  বিদুষী শ্রুতি সাদেলিকর (খেয়াল), গুরু কড়াইকুডি মানি (মৃদঙ্গ) ও বিদুষী শুভা মুডগাল (খেয়াল)।

 

গত তিন বছর ধরে বেঙ্গল আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব শিল্পী ও দর্শকদের অংশগ্রহণের নিরিখে ইতিমধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বিশ্বের সর্বাধিক বড় পরিসরের উচ্চাঙ্গসংগীতের আসর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার এ আয়োজনে দুই শতাধিক সংগীত ও নৃত্যশিল্পী অংশ নিচ্ছেন। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ নভেম্বর ২০১৫/শান্ত/রাসেল পারভেজ/শাহনেওয়াজ