বিনোদন

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের বাধা-নিষেধ

রাহাত সাইফুল : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে পেশিশক্তি, টাকার ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারও রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময় নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে্ তৈরি হয়েছিল সংশয়। যদিও নির্বাচন কমিশন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন সঠিক সময় নির্বাচন হবে। এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ। গত ২৩ এপ্রিল সহকারি পরিচালক মো. রফিকুল ইমলামের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানানো হয়- এক. কোনো প্রকার সভা/র‌্যালি/মিছিল করা যাবে না। দুই. করপোরেশনের অফিস ভবনে, ফ্লোরে অথবা দেয়ালে কোথাও কোনো প্রকার পোস্টারিং করা বা লেখা যাবে না। তিনি. সমিতির সকল সদস্যকে বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে করপোরেশনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হবে। পরিচয়পত্রবিহীন কোনো সদস্য বা কোনো বহিরাগতকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না। চার. কেপিআই নীতিমালা ভঙ্গ করা যাবে না। পাঁচ. ৫ মে ২০১৭ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ কমিশনারের অনুমতি প্রয়োজন হলে নিতে হবে। ছয়. করপোরেশনের অভ্যন্তরে শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সাত. সকাল ৮টা হতে রাত ৮টার মধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় কাজ শেষ করতে হবে। গত ১৩ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ১৬ এপ্রিল ছিল মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬২৩ জন। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তিনটি প্যানেল। মিশা সওদাগর-জায়েদ খান, ওমর সানি-অমিত হাসান, ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা এই তিনটি প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতি দুই বছর পরপর শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন শাকিব খান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান। ওই বছর ৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন এই কমিটি। ২০১৫-১৬ কমিটির মেয়াদ চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। দুই মাসের মাথায় এসে গত ৮ এপ্রিল আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ এপ্রিল ২০১৭/রাহাত/শান্ত