বিনোদন

শ্বশুরবাড়ি প্রথম গিয়েছিলাম ঈদে : শম্পা হাসনাইন

আমার শ্বশুরবাড়ি দিনাজপুর। ঈদ উপলক্ষে প্রথম বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে। পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতা আর গেট টুগেদারের সংমিশ্রণ বলতে পারেন। এই স্মৃতি আমার কাছে ভ্রমণের মতো আনন্দময়। চারপাশে নতুন মুখ, নতুন অনেকের সঙ্গে পরিচয়, একটু অন্যরকম ভাষা, নতুন সম্বোধন- উহ্ দারুণ ব্যাপার! তবে মনের কোণায় একটু দুঃখ রিনরিন করছিলো জীবনে সেই প্রথম মাকে ছেড়ে ঈদ করছিলাম। সেদিন একটু পর পর মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম। মায়ের দেয়া শাড়িটা পরেছিলাম। তার আগে মায়ের দেয়া কোনো পোশাক আমাকে এতোটা আকড়ে ধরতে পারেনি। মনে হচ্ছিল মাকে জড়িয়ে রেখেছি। ঈদের তৃতীয় দিন ছিল বৌভাত। পুরো আনুষ্ঠানিকতা একটু অন্যরকম, একটু ম্যারমেরে মনে হচ্ছিল। আমার নানু বাড়ি পুরান ঢাকায় যে রকম বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা দেখতাম, ওই রকম একটা অনুষ্ঠান আমার বিয়েতেও হবে বলে মনে করতাম। পরে জেনেছি ওই অঞ্চলে নাকি ঐরকমই হয়। যে অঞ্চলের যে নিয়ম সেটাই তো সেখানকার সৌন্দর্য। সাগর (সাখাওয়াত সাগর) আমাকে দারুণ একটা শাড়ি গিফট করেছিল। তার থেকে বড় গিফট ছিলো ওর মানসিক সাহস যোগানোর বিষয়টি। বরাবরই ও এইরকম। এখন কিন্তু সময় বদলেছে। আমি ওকে গিফট দেই। ঈদ উপলক্ষে এবার দুই দিন কেনাকাটা করেছি। একদিন গিয়েছিলাম সাগরের সাথে। ওর মঙ্গে কেনাকাটা করতে গেলে আমার মনে থাকে দুই থেকে তিনটা দোকানে ঢুঁ মারা যাবে; কোনো মতেই এর বেশি নয়। এরপরেই ওর চেহারার যে অবস্থা হয় তাতে আর কেনাকাটা করার মুড থাকে না! তাই প্রথম দিন শুধু ওর পোশাক কিনে চলে এসেছি। দ্বিতীয় দিন চুটিয়ে কেনাকাটা করেছি। এক কথায় সারা দিন। উহ্ ঈদের আনন্দ তো আর শুধু নির্দিষ্ট একটা দিনের নয়। এখন কেনাকাটা করতে গেলে শুটিংয়ের বিষয়টি মাথায় থাকে। যা কিনি মনে হয় এটা শুটিংয়ের, ওটা শুটিংয়ের। সারা বছর শুটিংয়ের জন্য অনেক কেনাকাটা হয়, দেশের বাইরে শুটিংয়ে গেলে নতুন পোশাক কিনি। কিন্তু তারপরও ঈদেই সবচেয়ে বেশি কেনা হয়। শপিংটা আমি খুব এনজয় করি। অনুলিখন : স্বরলিপি রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৭/তারা