বিনোদন

‘আমার পরিবারকে রেহাই দিন’

বিনোদন ডেস্ক : টলিউড শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ঘটনা সুপার মডেল সোনিকা সিং চৌহানের মৃত্যু। সোনিকার মৃত্যুর ঘটনায় অভি‌যুক্ত অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জিকে গত ৬ জুলাই গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। এরপর গত ২৬ জুলাই শর্তসাপেক্ষে আলিপুর আদালত তাকে জামিন দেয়। জেল থেকে বের হয়ে এ পর্যন্ত সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি বিক্রম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এ ঘটনা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এ ঝড়ের হাওয়া বইছে তার পরিবারেও। গতকাল রাতে বিক্রম তার ফেসবুক পেজে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার পরিবারের অবস্থা বর্ণনা করে বিক্রম লিখেন, ‘যারা আমার বোনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানেন তারা জেনে থাকবেন, সারা বছর ওকে কত লড়াই করতে হয়। একটু স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এক বছর অন্তর অন্তর ওর অস্ত্রোপচার করাতে হয়। তারপর সেরে উঠতে আরো ৩ মাস সময় লেগে যায়। আমাকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। আমাকে নিয়ে অনেক নিন্দা-চর্চা হয়েছে। কিন্তু এই নিন্দা-চর্চায় অপমান করা হয়েছে আমার মাকেও। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আর আমার পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু করবেন না। এই সব বিষয় থেকে আমার পরিবারকে রেহাই দিন।’ বিক্রম আরো লিখেন, ‘সেদিন রাতে সোনিকা প্রাণ হারিয়েছে। আর আমার শুধু প্রাণটুকুই রয়ে গেছে, আমিও বাকি সব হারিয়েছি। গত তিন মাস ধরে আমার মানসিক সুনামি চলছে।’ গত ২৯ এপ্রিল ভোররাতে দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ লেক মলের সামনে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান সোনিকা। এ সময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জি। এরপর টালিগঞ্জ থানা পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বিক্রমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। প্রথমে তার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ট্রাফিক আইন ভাঙা ও অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় বিক্রমের গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ছিল বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ আগস্ট ২০১৭/শান্ত/মারুফ