বিনোদন

‘ত্রি-রত্ন’র একজন ফরিদ আলী

বিনোদন প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান অভিনেতা ফরিদ আলী। তিনি একাডেমিক শিক্ষায় তেমন অগ্রসর না হয়েও অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শক মনে দাগ কাটতে সক্ষম হন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকবো না’ এই সংলাপটির সাথে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম। শুধু অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শিল্পী। পুরান ঢাকার ঠাটারি বাজারের বিসিসি রোডে ফরিদ আলীর জন্ম। সেখানেই তার বড় হওয়া। ১৯৬২ সালে শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’ মঞ্চ নাটকে নারী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন ফরিদ। মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম টিভিতে দৃশ্যমান হন। তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক  ‘নবজন্ম’। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম হাসির নাটক ‘ত্রি-রত্ন’র অভিনয়শিল্পী। ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ অভিনেতা ফরিদ আলীর। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘সংগ্রাম’, ‘গুন্ডা’, ‘রংবাজ’, ‘ঘুড্ডি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সমাধান’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘শ্লোগান’, ‘চান্দা’,‘দাগ’, ‘অধিকার’সহ অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন ফরিদ আলী। গত বছরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৯ আগস্ট তাকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ২২ আগস্ট বিকাল ৪টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিরবিদায় নেন ফরিদ আলী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ সমাহিত করা হয়। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ আগস্ট ২০১৭/রাহাত/শান্ত