বিনোদন

খাবার হোটেল দিতে চেয়েছিলেন প্রভাস

বিনোদন ডেস্ক : তেলেগু অভিনেতা প্রভাস। বর্তমানে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। বাহুবলি সিনেমা তাকে রাতারাতি এনে দিয়েছে তারকাখ্যাতি। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রভাস। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রভাস বলেন, ‘আমার চাচা ছিলেন একজন অভিনেতা, বাবা প্রযোজক সুতরাং তারা প্রায় জিজ্ঞেস করতেন, অভিনয়ে আমার আগ্রহ আছে কিনা। আর আমার মনে হতো, একজন মানুষ কীভাবে এতো মানুষের সামনে অভিনয় করে। আমার খুব লজ্জা লাগত। আমার মা-বাবা কয়েকবার আমাকে অভিনয় করতে বলে কিন্তু আমি জানাই, এটা অসম্ভব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার চিন্তা ছিল আমি কোনো ব্যবসা করব। কারণ আমি খুবই অলস এবং কোনো চাকরি করতে পারব না। চিন্তা করেছিলাম খাবার হোটেলের ব্যবসা করব কারণ আমার পরিবার খাবার খুবই পছন্দ করেন। আর নর্থ ইন্ডিয়ান খাবার হায়দরাবাদে খুবই বিখ্যাত।’ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু মনে পড়ে, জানি না আসলে আমার মনে কী হয়েছিল, আমি আমার চাচার একটি সিনেমা দেখছিলাম, যেটি আমার বাবা পরিচালনা করেছিলেন। আমি নিজেকে চাচার চরিত্রে কল্পনা করি। তার বুঝতে পারলাম আমার মনের কোথায় অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হচ্ছে।’ ২০০২ সালে ঈশ্বর সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন প্রভাস। তবে অভিনয়ে পা রাখার বিষয়টি সবাইকে বিশ্বাস করাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাকে। এ অভিনেতা বলেন, ‘আমি অভিনয় করতে চাই, এ কথা একদিন আমার বন্ধুকে বলি এবং সে আমার কথা বিশ্বাস করে না। সে আমার কথা দশদিন পর বিশ্বাস করেছিল। এখন সে সাহো সিনেমার প্রযোজক।’   এ পর্যন্ত রাঘাবেন্দ্র, ছত্রপতি, যোগী, রেবেল, মির্চিসহ বেশ কিছু দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রভাস। তবে বাহুবলি সিনেমায় অমরেন্দ্র বাহুবলি ও মহেন্দ্র বাহুবলি চরিত্রে অভিনয় তার জীবন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। এ সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন প্রভাস। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ অক্টোবর ২০১৭/মারুফ/শান্ত