বিনোদন

প্রেক্ষাগৃহে লাইভ টেকনোলজিসের ডিজিটাল প্রজেকশন

বিনোদন প্রতিবেদক : দিনে দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রের নাজুক এ অবস্থায় প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা কমে তলানীতে ঠেকেছে। এর অন্যতম একটি কারণ- দেশের সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে ডিজিটাল প্রজেকশন সিস্টেম নেই। এবার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে লাইভ এস.কে টেকনোলজিস্ স্থাপন করেতে যাচ্ছে ডিজিটাল সিনেমা প্রজেকশন সিস্টেম। লাইভ এস.কে টেকনোলজিস্ প্রেক্ষাগৃহে সর্বাধুনিক প্রজেক্টর, সাউন্ড ও সার্ভার মেশিন বিতরণ শুরু করেছে। প্রথমে সার্ভার সিস্টেম বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করেছে। শর্ত সাপেক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেম বিতরণ করা হবে বলে রাইজিংবিডিকে জানান, লাইভ এস.কে টেকনোলজিসের ডিরেক্টর ইয়াসির আরাফাত। এ প্রসঙ্গে ইয়াসির আরাফাত রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের ব্যবসার উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। ৩৫ এম.এম এর সময় হলে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য প্রযোজককে টাকা দিতে হতো না কিন্তু এখন দিতে হয়। একটি সুপার হিট সিনেমার জন্য একজন প্রযোজককে গুনতে হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, প্রদর্শন মেশিনের ভাড়ার জন্য অনেক হল মালিক সিনেমা চালাতে পারে না। এতে করে দিনে দিনে হলের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। সাধারণ প্রযোজক ও হল মালিকদের কথা ভেবেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। যেসব হলে এখন ডিজিটাল প্রজেকশন বসানো নেই সেসব প্রেক্ষাগৃহে আমরা এই প্রজেকশন বসাচ্ছি।’ লাইভ এস.কে টেকনোলজিসের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তামজিদ-উল-আলম অতুল বলে, ‘চলচ্চিত্রের অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা হল মালিক সমিতি, প্রদর্শক, বুকিং এজেন্ট সমিতি, বিশিষ্ট প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। লাইভ এস.কে টেকনোলজিসের সার্ভার থেকে মুভি পাইরেসি করা সম্ভব হবে না। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আরো নতুন কিছু করার চিন্তা করছি। তার মধ্যে আছে ই-টিকিটিং, হলের পর্দা পরিবর্তন ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করা।’ লাইভ এস.কে টেকনোলজিসের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য প্রযোজককে এককালীন মাস্টারিং চার্জ ৫০ হাজার টাকা এবং আমদানী, যৌথ প্রযোজনা ও বিদেশি সিনেমার জন্য এককালীন মাস্টারিং চার্জ ২ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে। পুরোনো বাংলাদেশি সিনেমার জন্য কোনো মাস্টারিং চার্জ দিতে হবে না।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুন ২০১৮/রাহাত/ফিরোজ