বিনোদন

গত বছরও আব্বা গরুর হাটে যেতে চেয়েছিলেন : বাপ্পারাজ

জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আব্বার সঙ্গে গরুর হাটে যেতাম। প্রতি বছর কোরবানি ঈদের আগে এই কাজটি আমি করতাম। আব্বা নিজে পছন্দ করে গরু কিনতেন। আব্বার সঙ্গে আমি, সম্রাট, বাপ্পি ও আত্মীয়-স্বজন সবাই একসঙ্গে যেতাম। কাউকে দিয়ে গরু কেনানো আব্বা পছন্দ করতেন না। হাটে গিয়ে ঘুরে ঘুরে গরু দেখতাম। হাটে গেলে বিভিন্ন রকম ঘটনা ঘটত। আমরা গরু পছন্দ করে টাকা দিয়ে চলে আসতাম। পরে আমাদের লোক গরু নিয়ে আসত। গত বছরও আব্বা গরুর হাটে যেতে চাচ্ছিলেন। শরীর খারাপ বলে তাকে আমরা নেইনি।দুর্ভাগ্যক্রমে এবার কোরবানিতে আব্বা আমাদের মাঝে নেই। এই শূন্যতা আর কখনও পূরণ হবার নয়। আব্বার সঙ্গে কত ঘটনা, কত স্মৃতি সব আজ মনে পড়ছে। এবার ঈদে মনের গহীনে একটা দুঃখবোধ থেকেই যাবে। আসলে সময় সব কিছু বদলে দেয়। সময়ের আবর্তে প্রতিবার ঈদ আসবে। আমাদেরও হাটে যেতে হবে গরু কেনার জন্য। কিন্তু এটাই সত্য যে, আব্বার সঙ্গে আর কখনও আমি হাটে যেতে পারব না। গরু নিয়ে আসার পর বাচ্চাদের নিয়ে সময়টা বেশ উপভোগ করি। কারণ ওরা গরু দেখে খুব আনন্দ পায়।বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় গিয়ে কোরবানির গরু দেখাটাও ভালো লাগার।কার গরু কেমন এ নিয়ে আমরা খুব মজা করি। কোরবানির দিন আসলে ব্যস্ততায় কাটে। কোরবানির পর সকাল থেকে মাংস বিতরণ করতে বিকাল হয়ে যায়। তাই এই দিন আমি সাধারণত বাসায় থাকি।সুযোগ পেলে বিকালে একটু বের হই।সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা আসেন।ঈদের দিন সন্ধ্যার পর আমরা বাসায় কাবাব বানাই।বাচ্চারা খুব আনন্দ করে।এটা দেখতে ভালো লাগে।এভাবেই হয়তো এবারও ঈদের দিন কেটে যাবে। অনুলিখন : রাহাত সাইফুল রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৮/রাহাত/তারা