বিনোদন

ফরীদি স্মরণে দোয়া-মাহফিল

বিনোদন প্রতিবেদক : কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। ভার্সেটাইল এই অভিনেতার অভিনয় নৈপুণ্য কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান দাপুটে এই অভিনেতা। সশরীরে না থাকলেও ভক্তকূলের হৃদয়ে চির অমলিন তিনি। হুমায়ুন ফরীদির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, ব্লগ, ফেসবুকে তার ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন। এই তালিকায় চলচ্চিত্র, নাটক ও মঞ্চকর্মীরাও রয়েছেন। তারা তাদের নিজ নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন। এদিকে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে ফরীদি স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ফরীদি ভাই একজন বড় মাপের অভিনেতা ছিলেন। হুমায়ুন ফরীদি নিজস্ব ছন্দে ন্যাচারাল অভিনয় করতেন। এটাই তার বৈশিষ্ট্য ছিল। তার মতো শিল্পীকে চলচ্চিত্র শিল্প হারিয়েছে। তাকে স্মরণ ও তার রুহের মাগফিরাত কামনায় আজ বাদ আসর শিল্পী সমিতিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা তার জন্য দোয়া করব।’ মঞ্চ থেকে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এরপর টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে ছড়িয়েছেন মুঠো মুঠো সোনা। ‘৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘আসামী বধূ’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’, ‘প্রবেশ নিষেধ’, ‘ভণ্ড’, ‘অধিকার চাই’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘ব্যাচেলর’, ‘শ্যামল ছায়া’ ও ‘মেহেরজান’ প্রভৃতি। সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করে।। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/রাহাত/শান্ত