বিনোদন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ

বিনোদন প্রতিবেদক : বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সিনেমা হলগুলো। নতুন সিনেমা না থাকায় পুরোনো সিনেমা দিয়ে হলগুলো চালু রাখা হয়েছে। প্রতিনিয়ত তাদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। যে কারণে একে একে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা শূন্য হয়ে যাওয়ায় এবার হল মালিক, প্রদর্শকরা সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদিপ্ত কুমার দাস, মিয়া আলাউদ্দিন, সভাপতি ইফতেখার নওশাদ প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিনেমা হল ১২৩৫ থেমে ১৭৪-এ নেমে এসেছে। দেশের সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা বছরে ৩৫-৪০-এ এসে ঠেকেছে। আমদানি করে সিনেমা আনা হলে পরিচালক-শিল্পীদের রোজগার কমে যাবে এই অজুহাত দেয়া হচ্ছে। সিনেমা হলের সঙ্গে জড়িত ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার আছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হল ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল। নতুন বিনিয়োগ ও মেধা সম্পন্ন নির্মাতা আসছে না। এর সমাধান কী? যখন থেকে ছবি আমদানি করা হচ্ছে তখন থেকে প্রদর্শক সমিতিকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, ভালো নির্মাতা আসছেন, দেশের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে। তার উদাহরণ এখন সিনেমা হল সংখ্যা ১৭৪ আর সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বছরে ৩৫। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বহু দিন প্রদর্শক সমিতি চুপ ছিল কিন্তু আর নয়। অনেক ধৈর্য্যের পর প্রদর্শক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে দেশের সব সিনেমা হল। সরকার যদি এদিকে নজর না দেন, তবে এই অবস্থা চলতে থাকবে।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ ২০১৯/শান্ত