বিনোদন

১৫ বছরে সিসিমপুর

বিনোদন ডেস্ক : হালুম, টুকটুকি, ইকরি কিংবা শিকু— শিশুদের কাছে এ নামগুলো অতি পরিচিত এবং প্রিয়। বলছি, জনপ্রিয় শিশুতোষ সিরিজ সিমিমপুরের কথা। দেশের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্যে ২০০৫ সালের ১৪ এপ্রিল ‘সিসিমপুর’ নামে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। ১৪ পেরিয়ে অনুষ্ঠানটি ১৫ বছরে পা রেখেছে। জানা যায়, চৌদ্দ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে ৩-৮ বছর বয়েসি শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য। সেই সঙ্গে তার লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা, যত্নকারী এবং শিক্ষকেরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। ভাষা-বর্ণ, গণিত, পরিবেশ, জেন্ডার সমতা, সামাজিক মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, বৈচিত্র্যের প্রতি সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে শেখায় সিসিমপুরের পাঠক্রম। আছে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসচর্চা, ভূমিকম্প, রাস্তা পারাপার ও পানিডুবি-বিষয়ক নিরাপত্তা, বিভিন্ন আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা, শিশুদের জমা-খরচ, সঞ্চয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ আরো অনেক কিছু। ‘সিসিমপুর’ অনুষ্ঠানটির একাদশ সিজন চলছে। তৈরি হচ্ছে ত্রয়োদশ সিজন। শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সারাদেশের প্রায় ১ কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন। এছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দেশ টিভি, চ্যানেল আই, চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে অনুষ্ঠানটি আরটিভি ও বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সকল কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। গত চৌদ্দ বছরে সিসিমপুর বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ‘সিসিমপুর’-এর পথচলা শুরু। নিউ ইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন ধারাবাহিকের যৌথ-প্রযোজনা ‘সিসিমপুর’-এর কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ এপ্রিল ২০১৯/শান্ত