বিনোদন

‘কখন বন্ধুত্ব হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি’

রাহাত সাইফুল : মানুষের জীবনে বন্ধুর অবদান অনেক। কথাটি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে, বন্ধুত্বের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতিবছর আগস্টের প্রথম রোববার বিশ্ব বন্ধু দিবস পালিত হয়। আজ বিশ্ব বন্ধু দিবস।বিশেষ এই দিনটিতে গুণী নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল স্মরণ করেছেন তার প্রিয় বন্ধু প্রয়াত মান্নাকে।

চলচ্চিত্র জগতে চিত্রনায়ক মান্নার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন মাসুম বাবুল। শুটিংয়ের ফাঁকে জমিয়ে আড্ডা দিতেন দুজন। মাসুম বাবুল বন্ধুর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা যখন আড্ডা দিতাম তখন ফিল্ম নিয়েই বেশি কথা হতো। আমরা প্রচুর দুষ্টুমিও করেছি। একবার দুজন ব্যাংকক গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার কাপড় নেই। আমি তো অবাক! কিছুই মাথায় আসছিল না। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারলাম- মান্না আমার কাপড় পরে বাইরে বের হয়েছে। মান্নার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা এমনই ছিল। আমাদের দুজনের কথা বলার ধরনটাও এমন  যে মান্না ফোন করলে আমি উত্তর দিলেই পাশে থেকে যে কেউ বুঝতে পারত আমি কার সঙ্গে কথা বলছি।’

মান্নার সঙ্গে শেষ স্মৃতি জানতে চাইলে মাসুম বাবুল বলেন, ‘মান্না উত্তরায় শুটিং করছিল। আমি এফডিসির ৩নং ফ্লোরে শুটিং করছিলাম। মান্না ফোন করল। আমি বললাম, শুটিং শেষ করে উত্তরায় আসব। কিছুক্ষণ পরই আমি দেখলাম ও এফডিসিতে। বললাম, মাত্রই তো কথা হলো, আমি যাচ্ছিলাম, তুই চলে এলি কেন? মান্না বলল, শুটিং শেষ, তাই ভাবলাম চলে আসি। দুজনে এখন একসঙ্গে উত্তরা যাওয়া যাবে। এরপর দুজন একসঙ্গে  উত্তরা গেলাম। অনেক গল্প হলো সেদিন। অথচ বুঝতেই পারিনি ওটাই হবে শেষ দেখা। এর তিনদিন পর মান্না না-ফেরার দেশে চলে গেল। মান্নার সঙ্গে স্মৃতিগুলো কখনও ভুলতে পারি না। অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। কোনটা ভুলব? সবসময় মনে পড়ে। মান্নার মতো একজন চলচ্চিত্রবান্ধব শিল্পী আজ এফডিসিতে বড় প্রয়োজন ছিল।’

মান্নার সঙ্গে বন্ধুত্বের শুরুটা কীভাবে? উত্তরে মাসুম বাবুল বলেন, ‘নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে মান্না যখন আসে তখন থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর মান্না অভিনীত ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘মান্না ভাই’, ‘আজকের সমাজ’, ‘মাস্তানের উপর মাস্তান’, ‘রংবাজ বাদশা’সহ অধিকাংশ সিনেমার নৃত্য পরিচালনা করেছি আমি। মান্না অভিনীত প্রায় একশর অধিক সিনেমার কাজ আমি করেছি। কখন দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ আগস্ট ২০১৯/রাহাত/তারা