বিনোদন

‘সুবোধকে মানুষ এবার দেখবে সিনেমায়’

কবি-নির্মাতা টোকন ঠাকুর নির্মাণ করেছেন ‘কাঁটা’। কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহিরের বিখ্যাত গল্প ‘কাঁটা’ অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই সিনেমার শুটিং ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন চলছে সম্পাদনার কাজ।

‘কাঁটা’ সিনেমায় দুইশ মঞ্চকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এসএম মহসিন, পরেশ আচার্য, অনিমেষ আইচ, শিবুকুমার শীল, মিনহাজুর রহমান, আনন্দ খালেদ, কামরুজ্জামান তপু, কাজী ফয়সাল, মওলানা মোসলেম উদ্দিন, শিখা কর্মকার, আশরাফুল আলম রন্টু, রেজা ঘটক, পলক রহমান, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ আরো অনেকে। পরিচালক বেশিরভাগ চরিত্রে নতুনদের ওপর আস্থা রেখেছেন। এর কারণ হিসেবে টোকন ঠাকুর বলেন, ‘এ ধরনের একটি ইতিহাসভিত্তিক সিনেমার জন্য বাজারের প্রচলিত মুখের চেয়ে নবাগতরাই বেশি ফলদায়ক বলে আমি বিশ্বাস করেছি। তাই নতুনদেরই প্রাধান্য দিয়েছি।’

‘কাঁটা’র মূল চরিত্র প্রসঙ্গে টোকন ঠাকুর বলেন, ‘‘গল্পের লিড প্রটাগনিস্ট শ্রীসুবোধচন্দ্র দাস।সুবোধ।আমরা দেখলাম, ২০১৬ সালের অন্তিমে এসে বা ২০১৭ সালজুড়ে ঢাকার রাস্তার দেয়ালে এক গ্রাফিতিচিত্র: ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, সময় এখন পক্ষে না।’ গণমানুষ সুবোধের গ্রাফিতিচিত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেল, আমার শহীদুল জহিরকে মনে পড়লো।সেই শহীদুল জহির, সেই সুবোধকে মানুষ এবার দেখবে সিনেমায়।আপাতত এটুকুই...।’’

   

সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে জানতে চাইলে টোকন ঠাকুর বলেন, ‘সিনেমাটি শীতে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি আসছে শীতে মুক্তি দিতে পারবো।’ টোকন ঠাকুরের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় এ ছবির ৯০ শতাংশ শুটিং হয়েছে নারিন্দা, ফরাশগঞ্জ, সূত্রাপুর, ফরিদাবাদসহ পুরনো ঢাকার নানা এলাকায়।এছাড়াও ঢাকার বাইরে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদী ও নরসিংদীতে হয়েছে বাকিটা শুটিং। 

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ব্ল্যাক আউট’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন টোকন ঠাকুর। ছোটপর্দায় নির্মাণের পাশাপাশি সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ‘রাজপুত্তুর’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সে’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯/রাহাত সাইফুল/তারা