বিনোদন

হেমন্তের সন্ধ্যায় হাছনজানের রাজা

হেমন্তের শেষ প্রহরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বসেছে দুই বাংলার নাট্যমেলা। ৯ দিনব্যাপী এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকার অন্যতম নাটকের দল প্রাঙ্গণেমোর।

আজ রোববার এই উৎসবের তৃতীয় দিন। উৎসবের অংশ হিসেবে আজ সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে প্রাঙ্গণেমোরের আলোচিত প্রযোজনা ‘হাছনজানের রাজা’। এটি রচনা করেছেন শাকুর মজিদ, নির্দেশনায় রয়েছেন অনন্ত হিরা।

সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষ্মণ শ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে পাঁচ লাখ বিঘার বিশাল অঞ্চলের জমিদার ছিলেন হাছন রাজা। মরমি এ গীতিকবিকে মঞ্চে নিয়ে এসেছে নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর।

নাটকে হাছন রাজার চরিত্রে অভিনয় করছেন রামিজ রাজু। হাছন রাজা চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতির বিষয়ে রামিজ রাজু বলেন, ‘এই সময়ে আমরা যারা আছি তারা কেউ হাছন রাজাকে দেখিনি। হাছন রাজা দেখতে কেমন ছিলেন তা আমরা অনেকেই জানি না। তার শেষ বয়সের একটি ছবি পাওয়া গেছে সেটা স্টিল না পোর্ট্রেট সেটাও সঠিকভাবে জানি না। সম্ভবত স্টিল হবে। হাছনা রাজা কীভাবে হাঁটতেন কীভাবে কথা বলতেন এসব বিষয় এই একটি ছবি দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানার জন্য তার রেকর্ড আছে, নজরুলকে জানার জন্য তার অভিনীত চলচ্চিত্র পাই কিন্তু হাছন রাজার ক্ষেত্রে এসব কিছু্র সহযোগিতা পাইনি। এজন্য তার জীবন কাহিনি দিয়ে তাকে কল্পনা করে নিতে হয়েছে। তার যে রমণীগণ ছিল, তার যে জীবনযাপন পদ্ধতি ছিল সেসব তথ্য জেনে এক প্রকার কাল্পনিকভাবে তাকে মনে এঁকে নিয়েছি।’

নাটকের একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন আউয়াল রেজা। এছাড়াও অভিনয় করবেন মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন ও রুমা।

নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির। সংগীতের পরামর্শক হাছন রাজার গানের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী সেলিম চৌধুরী। সংগীত পরিকল্পনা করেছেন রামিজ রাজু। আলোক পরামর্শক ঠান্ডু রায়হান, আলোক পরিকল্পনা করেছেন তৌফিক আজীম রবিন। পোশাক পরিকল্পনায় নূনা আফরোজ।

গত বছরের ২০ এপ্রিল নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দেশ-বিদেশে বেশ কিছু সফল মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১৬ বছর ধরে সফলভাবে একে একে ১০টি নাট্যোৎসব সম্পন্ন করেছে নাট্যসংগঠন প্রাঙ্গণেমোর। সেই ধারাবাহিকতায় বিজয়ের মাসে দলটি আয়োজন করছে আরেকটি নাট্যোৎসবের। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্দা নামবে এই উৎসবের। ঢাকা/শান্ত