বিনোদন

চাঁদনী রাতে সৈকতে ‘ন ডরাই’

হাজার তারার মাঝে স্নিগ্ধ চাঁদ। যার আলো এসে পড়েছে সফেদ সমুদ্রে। চাঁদের আলো সমুদ্রের জলে মোহমীয় এক রূপ দিয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে কূলে। তার পাশে বিস্তৃত সৈকত। সৈকতের বালুকণায় চাঁদের আলো অন্যমাত্রা যোগ করেছে। বালুকাময় এই সৈকতে বড় পর্দায় প্রদর্শিত হলো বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ন ডরাই’।  

স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কক্সবাজারের সায়মান বিচ রিসোর্টের সামনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য প্রদর্শিত হয় সিনেমাটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় সার্ফারদেরও এ প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদেরকে টি শার্টসহ বিশেষ উপহারও দেয়া হয়। প্রদর্শনী শেষে অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয় বারবিকিউ পার্টির।

সিনেমাটির প্রযোজক মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেয়ার। সিনেমার গল্প, নির্মাণশৈলী, চিত্রায়নসহ সবকিছুতে অভিনবত্বের ছাপ রাখার প্রয়াস ছিল। সাহসী নারীর গল্পের পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আকর্ষণীয়রূপে পর্দায় উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিচ প্রিমিয়ারও এই নতুনত্বের প্রয়াসের একটি অংশ। সিনেমা মুক্তির পর থেকে দর্শকদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমার চেষ্টা অনেকখানি সার্থক বলে মনে করি।’

গত ২৯ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে সার্ফিং নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’। এটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান। প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও সুনেরা বিনতে কামাল। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজারে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে এটি। ‘ন ডরাই’ শব্দের অর্থ ভয় করি না। এ সিনেমায় সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা নারীদের উৎসাহিত করবে।

 

ঢাকা/শান্ত