বিনোদন

নায়করাজের ৭৯তম জন্মদিন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার বরেণ্য এই চিত্রনায়কের ৭৯তম জন্মদিন।

এক সময়ের তুমুল দর্শকপ্রিয় এই চিত্রনায়কের পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। ষাটের দশকে ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাকের অভিনয় জীবনের শুরু। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা ‘বেহুলা’। এতে সুচন্দার বিপরীতে নায়কের চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। সিনেমাটি মুক্তির পর নায়করাজ ঢের প্রশংসা কুড়ান।

দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন নায়করাজ। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। রাজ্জাক-সুচন্দা, রাজ্জাক-কবরী, রাজ্জাক-শাবানা ও রাজ্জাক-ববিতা জুটি হিসেবে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে আজও স্মরণীয়। বিশেষ করে রাজ্জাক-কবরী জুটির কথা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বলেছিলেন—‘আমার প্রেম আমার ভালোবাসা আমার সবকিছু অভিনয়, চলচ্চিত্র। এ ছাড়া আমি আর কিছু জানি না, পারি না। আল্লাহ অনেক সুযোগ দিয়েছেন, অনেক কিছু করতে পারতাম, করিনি।’

বর্ণাঢ্য অভিনয় ক্যারিয়ারে রাজ্জাকের ঝুলিতে রয়েছে তিন শতর মতো বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র। রাজ্জাক অভিনীত দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, মধু মিলন, পীচ ঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, জীবন থেকে নেয়া, কী যে করি, অবুঝ মন,  রংবাজ, বেঈমান, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, অনন্ত প্রেম, বাদী থেকে বেগম, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নাচের পুতুল, অশ্রু দিয়ে লেখা, ওরা ১১ জন,  গুন্ডা, অশিক্ষিত, অগ্নিশিখা, ছুটির ঘন্টা, মহানগর, বড় ভাল লোক ছিল, নাজমা, চন্দ্রনাথ, অভিযান, শুভদা, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, যোগাযোগ, অন্ধ বিশ্বাস, বাবা কেন চাকর ইত্যাদি।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণও করেছেন রাজ্জাক। ষোলটির মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন তিনি। তার নির্মিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘আয়না কাহিনী’। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন নায়করাজ। ঢাকা/শান্ত