বিনোদন

‘মরলেও কি টাকা কবরে নিয়ে যাবেন?’

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে শুধু চাকরি বাঁচাতে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ঢাকায় এসেছেন অসংখ্য গার্মেন্টসকর্মী। মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্বের কথা বার বার বলা হলেও গতকাল শনিবার মানুষের উপচে ভিড় এ শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।

এদিকে গতকাল রাতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে। বিষয়টি এমন হয়েছে যে—‘সেই তো নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি’।

ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানভীন সুইটিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, এটা গার্মেন্টসকর্মীদের সাথে অমানবিক আচরণ। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। আজকে (শনিবার) কত কষ্ট করে মানুষগুলো ঢাকায় আসল। কিন্তু কেন? এমন গল্প শুনেছিলাম আব্বা, মায়ের কাছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় মাইলের পর মাইল হেঁটে তারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল। আর ২০২০ সালে আমরা দেখলাম, চাকরি বাঁচানোর জন্য মাইলের পর মাইল হেঁটে এসেছে ঢাকায়। যারা পিপিই বানাচ্ছে শুধু তাদের গার্মেন্টস খোলা থাকবে। ১১ তারিখ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাহলে গার্মেন্টসেরকর্মীরা ঢাকায় আসল কেন? তাহলে আমরা যে এত কষ্ট করে বাসায় আছি, এতে তো কোনো লাভই হলো না!

শঙ্কা প্রকাশ করে এ অভিনেত্রী বলেন, আমরা সরকারের প্রতিটি নির্দেশ মেনে চলছি। গার্মেন্টসের মালিক, আপনারা কয়েকদিন বন্ধ রাখলে কি হতো, সরকার তো আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য এ কাজটা করেছেন আপনারা এবং জনগণকেও একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছেন। সরকার ৫০০০ কোটি টাকা দিয়েছে আপনাদের। পুরো বিশ্ব যেখানে বন্ধ হয়ে আছে, সেখানে আপনারা কেন খোলা রাখবেন। নিজেদেরটা খুব ভালো বুঝেন আপনারা। টাকা, টাকা, টাকা ...মরলেও কি টাকা কবরে নিয়ে যাবেন? এখন এই কর্মীদের যদি কিছু হয় এবং জনগণের কিছু হয়, দায়িত্বটা কে নেবে?

 

ঢাকা/শান্ত