বিনোদন

দান নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলব না: মেহজাবিন

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। বছর জুড়েই থাকে তার নানা ব্যস্ততা। কিন্তু মহামারি করোনা প্রকোপে থেমে গেছে তার কাজ। শুধু মেহজাবিন নন, গোটা বিশ্বই আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঢাকা নগরী লকডাউন করা হয়েছে। অন্যদের মতো ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন মেহজাবিনও। এ পরিস্থিতিতে নানা বিষয় নিয়ে মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলেছেন রাইজিংবিডির সহ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শান্ত।

রাইজিংবিডি: এই দুর্যোগকালে কেমন আছেন? মেহজাবিন: আলহামদুলিল্লাহ, আছি ভালোই। সময়টা কেটে যাচ্ছে আরকি। 

রাইজিংবিডি: নাটক-টেলিফিল্মের শুটিং বন্ধ, ঘরবন্দি জীবন কাটছে। কীভাবে সময় পার করছেন? মেহজাবিন: সময়টা কেটে যাচ্ছে, কেটে যায়। পরিবারে এরকম করে আগে কখনো সময় দেওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে কথা বলা, বাসার কোনো একটা কাজ করা কিংবা মুভ্যি দেখা—এভাবেই কেটে যাচ্ছে সময়।

রাইজিংবিডি: ঈদুল ফিতরের কাজ হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করোনা প্রকোপে সব কাজ বন্ধ। সব মিলিয়ে আপনার কত সংখ্যাক কাজ বন্ধ হয়ে গেল? মেহজাবিন: অনেক কাজই হাতে ছিল। শিডিউলও ওইভাবে ঠিক করেছিলাম। তাছাড়া অনেক কাজের বিষয়ে পরিচালকদের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কিন্তু ঠিক করে সংখ্যা বলাটা কঠিন। তবে অনেক কাজই হাতে ছিল, যা এখন বন্ধ রয়েছে।

রাইজিংবিডি: শুটিং বন্ধ থাকার কারণে শুটিংয়ের স্বল্প আয়ের মানুষগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। শিল্পী সংঘ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত বা শিল্পী সংঘের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করছেন কিনা? মেহজাবিন: আসলে চ্যারিটি নিয়ে কখনো গণমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে কথা বলতে চাই না। কারণ দান গোপনে করতে হয়। তবে এই পরিস্থিতিতে যা যা করা প্রয়োজনীয়, তা তা আমি করার চেষ্টা করছি। যে যে জায়গায় দেওয়া উচিত সেখানে সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করছি।

রাইজিংবিডি: করোনা মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের যতটা সচেতন হওয়ার কথা, ঠিক ততটা সচেতন এখনো হননি। তাদের উদ্দেশ্য কী বলতে চান? মেহজাবিন: নিরাপত্তার জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে তা নিয়ে আমি একাধিক ভিডিও তৈরি করেছি। যেহেতু মানুষের অনেকটা সময় এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটে, তাই ফেসবুক ও ইউটিউবে এগুলো পোস্ট করেছি। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী একটাই কথা—যত কষ্টই হোক না কেন সবাইকে বাসায় থাকতে হবে। যদিও এই মুহূর্তে বাসায় থাকা অনেকের জন্যই কষ্টকর, তবু এই নিয়মটা এখন না মানলে আমাদের সবাইকে হয়তো ভয়াবহ রূপ দেখতে হতে পারে! যে দৃশ্য পশ্চিমা দেশগুলোতে ইতোমধ্যে ঘটছে। তবে দোয়া করি, এমনটা যেন আল্লাহ আমাদের দেশে না করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে—সামাজিক দূরত্ব। সবাই যার যার পরিবার নিয়ে বাসায় থাকার চেষ্টা করলে সবচেয়ে ভালো হয়।

রাইজিংবিডি: আপনার নিরাপদ জীবন কামনা করছি। মেহজাবিন: আপনিও নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 

ঢাকা/শান্ত