বিনোদন

বিশেষ ব্যবস্থায় নাটক নির্মাণ করতে চায় টিভি সংগঠনগুলো

করোনার এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশেষ ব্যবস্থায় ১ শত নাটক নির্মাণের কথা ভাবছে টেলিভিশনের চারটি সংগঠন।

গতকাল রাতে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনাল অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (টেলিপ্যাব) সভাপতি ইরেশ যাকের, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে একটি বৈঠক করেন। এতে এক শত নাটক নির্মাণের প্রস্তাব রাখেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম।

প্রস্তাবনায় এই অভিনেতা বলেন, ‘এই দুর্যোগে এক শত নাটক নির্মাণ করা যায় কিনা। যাকে করোনাকালীন হেল্প ফান্ড হিসেবে ধরব। এসব নাটকে যারা কাজ করবেন তারাও টাকা পাবেন, আর যারা করবেন না তারাও এখানকার একটা অংশ পাবেন। বাজেট দেড় থেকে দুই লাখ টাকা হতে পারে। আর নির্মাণ কাজটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসে কিংবা প্যানেলেও করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই সরকারি কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নয়। কারণ সাংগঠনিকভাবে কারো জীবনের ঝুঁকি নেব না।’

প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও অভিনেতা ইরেশ যাকের এই প্রস্তাবকে সম্মতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা করোনাকালীন প্রজেক্ট ধরা যেতে পারে। ধরুন, ১০০ নাটকের টাকার একটা অংশ এলো। এতে করে কিছুটা সাপোর্ট হয়তো অসচ্ছল শিল্পীরা পাবেন। এটা করা সম্ভব। এটা খুবই শক্তিশালী উদ্যোগ।’

ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহ্‌উদ্দীন লাভলু এই মুহূর্তে নাটক নির্মাণকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। কারণ সঠিক সিদ্ধান্ত না হলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। লাভলু বলেন, ‘সত্যি বলতে, ইতোমধ্যে আমাদের সংগঠনের ফান্ড শেষ হয়ে গিয়েছে। জরুরি ফান্ড তৈরি করা দরকার। তবে শুটিং করার বিষয়টি আন্তঃসাংগঠনিকভাবে নিতে হবে। কারা নির্মাণ করবে, কবে থেকে নির্মাণ করবে, তাও সুনির্দিষ্ট হতে হবে। যদি আগামী ৫ মে এর আগে কেউ শুটিং করতে চাইলে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এসব বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।’

টিভি চ্যানেল, প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলীরা প্রায় প্রত্যেকেরই কিছু টাকা পাওনা আছে। আগামী মাসের মধ্যে এগুলো টাকা তুলে দিলে অসচ্ছল শিল্পীদের কাজে লাগবে। এজন্য নাটক নির্মাণের পাশাপাশি পাওনা টাকা তোলার বিষয়ে জোর দিতে চান নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা। এ নাট্যকার বলেন, ‘নাটক নির্মাণ খুব ভালো পরিকল্পনা। এটা আমরা অবশ্যই করব। এটা করা দরকার। এছাড়া টাকা কালেকশনের বিষয়ে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে বসা দরকার।’

এদিকে পুরো বিষয়টিকে প্রাথমিক ভাবনা বলেছেন বরেণ্য নাট্যকার মামুনুর রশীদ। এজন্য আরো আলোচনা করা প্রয়োজন বওলে মনে করছেন তিনি। ঢাকা/শান্ত