বিনোদন

পপি থেকে ববিতা

বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের যে নামে দর্শক চিনেন, তাদের অধিকাংশ পরিবর্তিত নাম।

এ পরিবর্তন নির্মাতারাই করেছেন। তাই এসব অভিনয়শিল্পীর প্রকৃত নাম সাধারণ মানুষের অজানা। আবার কোনো কোনো তারকার প্রকৃত নামে অন্য তারকা প্রতিষ্ঠিত। ঢাকাই চলচ্চিত্রের তারার নামে তারাদের নিয়ে সাজানো হয়েছে বিশেষ এই আয়োজন। দ্বিতীয় পর্বে থাকছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা ও চিত্রনায়িকা পপি।

সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রশংসা কুড়ান। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। তার প্রকৃত নাম ফরিদা আক্তার পপি। চলচ্চিত্রে পা রাখার পর তার নাম রাখা হয় ববিতা। এরপর থেকে সবাই তাকে এই নামেই চেনেন।

কিন্তু পরবর্তীতে পপি নামে একজন চিত্রনায়িকার আগমন ঘটে। তিনি এখন পপি নামেই জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত। তার পুরো নাম সাদিকা পারভীন পপি। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আবির্ভূত হন। এ পর্যন্ত তিনি ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ সিনেমায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

নাম পরিবর্তনের এ প্রচলন বাংলা চলচ্চিত্রের শুরু থেকেই হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকাদের নতুন নাম দেওয়া হয়। তবে নামের এ পরির্বতন বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। যে কারণেই নাম পরিবর্তন করা হোক না কেন, নাম নয় কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারা। যেমনটা পপি নিজ গুণে দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত