বিনোদন

‘টাকা দিয়ে মৃত্যুর টিকিট কিনবো নাকি?’

‘টাকা দিয়ে মৃত্যুর টিকিট কিনবো নাকি? সরকার প্রধান মনে-প্রাণে চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা ঘরে থাকবো না। কারণে অকারণে আমরা বের হবোই। মনে হচ্ছে কাবাডি কাবাডি খেলছি।’—কথাগুলো এভাবেই বলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব সিনেমা হল। এমন পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরে সিনেমা মুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সিনেমা হল খোলার আগ্রহ নেই হল মালিকদের।

হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হলতো খুলে দিতে চাই। অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে মালিকদের। সরকার আজ ঘোষণা দিলে কাল খুলে দিব। কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কে যাবে হলে? সিনেমা হল একটি বদ্ধ ঘর। এর মধ্যে একটি হাঁচি দিলে সবার মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে। এত ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে দর্শক হলে যাবে?’

এদিকে ব্যবসায়িক কথা চিন্তা করে মার্কেট খুলে দেওয়া হচ্ছে, সে অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হল খুলে দিতে পারে সরকার। এমন সম্ভাবনার কথা অনেকে বলছেন। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, প্রযোজক সমিতি হল খোলার দাবি জানিয়েছে! এ বিষয়ে কাজী শোয়েব রশিদ বলেন, ‘মানুষ এখন জীবন বাঁচানো নিয়ে চিন্তিত, সেখানে সিনেমা দেখার কথা চিন্তা করে কীভাবে! আর একটা কথা উঠেছে প্রযোজক সমিতি হল খোলার দাবি জানিয়েছে। কে দাবি জানালো তা বুঝলাম না। প্রযোজক সমিতি ও আমরা একসঙ্গে বসেই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই। প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও হল খুলে দেওয়ার পক্ষে না। আর এই মুহূর্তে সিনেমা মুক্তি দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইবেন না কোনো প্রযোজক। দর্শক না পেলে সিনেমা মুক্তি দিয়ে লাভ কি?’

করোনা প্রকোপ শুরুর আগে বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির প্রচার শুরু করেছিল সংশ্লিষ্টরা। এ তালিকায় রয়েছে—‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, ‘জ্বীন’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’, ‘বান্ধব’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘শান’, ‘বিদ্রোহী’, ‘মন দেব মন নেব’, ‘আমার মা’, ‘পরাণ’, ‘বিক্ষোভ’ সহ বেশ কটি সিনেমা। ঈদুল ফিতরে ‘শান’ সিনেমা মুক্তির প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সিনেমাটির পরিচালক এম রাহিম জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে সিনেমা মুক্তি দিবেন না।

 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত